চিতলমারী( বাগেরহাট) থেকে | অলোক মজুমদার: চিতলমারী উপজেলার খাসেরহাট বাজারের দরপত্র জমা দেবার ঘটনায় হামলা হয়  গৌতম কুমার বিশ্বাসের উপর। আর ঘটনার দিন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু অশোক কুমার বড়ালকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রান নাশের হুমকি দেওয়া হয়।জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

৩১মার্চ রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে থানায় এসে ডাইরি করেন উপজেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি অহিদুজ্জামান,মাসুদ পারভেজ,সুকুসার ঘটক এবংমহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদিকা প্রাক্তন মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান শিবানী বিশ্বাসের নামে।এসময়  থানার সামনে কয়েকশত নেতা কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার বিবরনে জানা যায় ৩১ মার্চ থানা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে রক্ষিত টেন্ডার বক্সে টেন্ডার জমা রাখায় গৌতমকে তুলে নিয়ে বেদম মারপিট করে আওয়ামী লীগের অফিসে ফেলে রেখে যায়।উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন কালিগঞ্জ বাজার, চিতলমারী সদর বাজারও খাসেরহাট বাজারের টেন্ডার জমা দেবার শেষদিন ছিলো ৩১মার্চ।টেন্ডার উন্মুক্ত করায় যে যার মতো টেন্ডার জমা দিতে আসে।কিছু ব্যক্তি টেন্ডার নিজেরা পাবার জন্য কাউকে জমা দিকে চায় না।আমি মারপিটের কথা শুনে আমার অফিস থেকে বের হলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দেয়।আমি নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি।আমাকে হুমকি ধামকির কথা উপস্থিত সকলে শুনেছে।তাই জীবনের নিরাপত্তাহীনতার জন্য থানায় সাধারণ ডাইরী করতে এসেছি।ডাইরি নং-১১৯০। থানা প্রশাসন এখন ব্যবস্থা নেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

জুএমন অভিযোগ অস্বীকার করেন মহিলা নেত্রী শিবানী বিশ্বাস।তিনি বলেন গন্ডগোলের কথা শুনে আমি উপজেলার ভিতর থেকে বের হয়ে মারামারি ঠেকাই।আর আমি কিনা দোষী বা হুমকিদাতা।মানুষ গায়ের জোরে অনেক কিছু করতে বা বলতে পারে।আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,একজন জনপ্রতিনিধিকে অসন্মান করা কারো উচিত নয়।

      এব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মীর শরিফুল হক এবং সেকেন্ড অফিসার সঞ্জয় বাবু বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থানায় এসে জীবননাশের হুমকি ও গালিগালাজের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন। যার নং১১৯০।এবিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।